MMonir Trainer 2 years ago |
কানে সমস্যা ও কান পাকা রোগে করনীয় !
কান পাকাঃ
কান-পাকা রোগের অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু কান-পাকা রোগকে সাধারণ মামুলি রোগ মনে করেন অনেকেই। যার ফলে নানা স্বাস্থ্য বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। কানপাকা বলতে আমরা মধ্য-কর্ণের দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণকে বুঝি (csom)। এ রোগের চিকিৎসা ধৈর্য সহকারে গ্রহণ করতে হয়। এটি সারাতে উপদেশ মেনে চলার বিকল্প নেই।
কান পাকা রোগটি মূলত দুই ধরনের –
(১) সেফ টাইপ (টিউবোটিমপেনিক টাইপ), সাধারণত এটাতে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। কানের পর্দার টানটান অংশটি ফুটো হয়ে যায়। আর ফুটো হবার কারণে কান দিয়ে পুঁজ পড়ে থাকে। উল্লেখ্য এ ধরনের কানপাকা রোগই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
(২) আনসেফ টাইপ (এটিকোএন্ট্রাল টাইপ), এই ধরনের কান পাকা রোগ থেকে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যা কিনা প্রাণনাশের হুমকিস্বরূপ। যেমন- ব্রেইনএবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ইত্যাদি।
কি কি উপসর্গ থাকে?
১. মাঝেমধ্যে কান দিয়ে পুঁজের মতো পড়ে। পানি ঝরে। অনেক সময় ঠাণ্ডা-সর্দি হলেই এই পুঁজ পড়া পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
২. কান ব্যথা হতে পারে।
৩. কান চুলকাতে পারে।
৪. কানে কম শোনে।
যারা কান পাকা রোগে ভুগছেন তাদের জন্য পরামর্শ-
(১) গোছলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই কানে পানি ঢুকতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ দিয়ে গোসল করবেন। তা না হলে তুলা তেলে ভিজিয়ে অতিরিক্ত তেল চিপড়িয়ে ফেলে দিয়ে তুলা কানে দিয়ে গোছল করবেন।
(২) পুকুরে/ নদীতে ডুব দিয়ে গোসল করবেন না।
(৩) ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় ইত্যাদি পরিহার করে চলবেন।
(৪) অযথা কান খোঁচাখুঁচি করা যাবে না।
Alert message goes here